ময়মনসিংহ ইটভাটায় ৫দিন ধরে বেঁধে রাখা শেকলবাঁধা শ্রমিক উদ্ধার

ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জের এক ইটভাটা থেকে সবুজ আলী নামে পাঁচদিন ধরে শেকলবাঁধা শ্রমিক উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় ইটভাটার মালিকসহ দুইজনকে আটকের পর ১০ ফেব্রুয়ারি শনিবার দুপুরে তাদের আদালতে পাঠানো হয়।

ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা মহোদয়ের দিক-নির্দেশনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশ ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলার মগটুলা ইউনিয়নের নব্বইয়ের বাজার আব্দুল গনি ব্রিকস ফ্যাক্টরি থেকে মো: সবুজ মিয়া (৩০) নামের একজন ভাটার শ্রমিককে শেকলবাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে। উদ্ধারকৃত সবুজ মিয়ার বাড়ী সিরাজগঞ্জ জেলার তাড়াশ উপজেলায়। সে শ্রমিক সরদারের মাধ্যমে জানুয়ারী মাসের ২ তারিখ ইটভাটায় শ্রমিক হিসাবে কাজে যোগদেয়।

নাটোরের আনসার আলী নামে এক সর্দার এজিবি ব্রিকসের মালিকের কাছ থেকে অগ্রিম ৩ লাখ টাকা নিয়ে সবুজ আলীসহ মোট ১৮ জন শ্রমিককে কাজের জন্য দেন। ইটভাটার মালিকের সাথে সরদারের আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত বিরোধ থাকায় সরদার ভিকটিম শ্রমিক সবুজ মিয়াকে রেখে চলে যায়। বাকীরা শ্রমিকরা ব্যাপারটি বুঝতে পেয়ে একে একে সবাই ইটভাটা ছেড়ে চলে যায়। কিন্তু সবুজ আলি থেকে যায় সেই ইট ভাটায়। একসময় সবুজ আলিও চলে যেতে চাইলে ইটভাটার ম্যানেজার ঘটনাটি বুঝে ফেলে। এরপর  গত ৪ ফেব্রুয়ারী থেকে ৯ ফেব্রুয়ারী পাঁচদিন ইটভাটার ম্যানেজার শ্রমিক সবুজ মিয়াকে পায়ে শেকল দিয়ে আটকে রেখে মানসিকভাবে নির্যাতন করে আসছে।

সবুজ আলি কৌশলে একটি ফোন নিয়ে এ বিষয় সম্পর্কে তার বাবার কাছে জানায় এবং তার এরপর তার বাবা ঈশ্বরগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দেয়। জেলা পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা মহোদয় সংবাদ পেয়ে ভিকটিমকে উদ্ধারের জন্য ঈশ্বরগঞ্জ থানা পুলিশকে নির্দেশ দেন । পুলিশ ঘটনাস্থলে সবুজ মিয়া অর্থাৎ সেই শেকলবাঁধা শ্রমিক উদ্ধার করে।

আরও পড়ুন>> নৌবাহিনীর পরিচয়ে বিয়ে করেছে ১৩ টি সাথে অর্ধকোটি টাকা আত্মসাৎ

অমানবিক এই অপরাধে জড়িত ইটভাটার মালিক মো: খাইরুল আলম রাসেল (৪২) ও ম্যানেজার মো: আসাদুল্রাহ মিয়া (৭০) উভয় থানার ছাতিয়ানতলা বৈরাটি ইশ্বরগঞ্জের বাসিন্দাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ভিকটিম সবুজ মিয়াকে ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এঘটনায় ঈশ্বরগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। আসামীদের বিজ্ঞআদালতে প্রেরন করা হয়েছে।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *