ময়মনসিংহের নওমহল এলাকায় সংঘটিত নির্মাণাধীন ভবনে হত্যাকাণ্ড ঘটনার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সন্দেহভাজন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আজ (৭ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টায় ময়মনসিংহ পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এ বিষয়ে এক প্রেস ব্রিফিং অনুষ্ঠিত হয়।
গত ৬ ডিসেম্বর দুপুর ২টায় ময়মনসিংহ শহরের নওমহল এলাকার একটি নির্মাণাধীন ভবনের তৃতীয় তলায় ফোরম্যান রমজান আলী (২৪)-এর মৃতদেহ পাওয়া যায়। নিহতের মাথায় ভারী বস্তু দিয়ে আঘাতের কারণে তার মুখমণ্ডল বিকৃত হয়ে যায়। ঘটনাটি শহরে তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করে।
খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে কোতোয়ালি থানা, জেলা গোয়েন্দা শাখা, এবং পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন।
নিহত রমজান আলী নির্মাণ শ্রমিকদের ফোরম্যান হিসেবে কাজ করতেন। শ্রমিকদের মধ্যে পারিশ্রমিক নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে অস্বস্তি চলছিল। তদন্তে নিহতের মোবাইল ফোন ও ভবনের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনার মাধ্যমে সন্দেহভাজন হিসেবে রডমিস্ত্রি মো. আমিনুর ইসলাম (২৫)-এর নাম উঠে আসে।
পরবর্তীতে, গোয়েন্দা পুলিশের নেতৃত্বে একটি যৌথ দল নরসিংদীর শাহপ্রতাপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে আমিনুরকে গ্রেপ্তার করে।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমিনুর স্বীকার করে যে, রমজানের সঙ্গে পারিশ্রমিক নিয়ে তার তীব্র বাকবিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে রমজান তাকে গালিগালাজ করলে উত্তেজিত হয়ে মেঝেতে থাকা লোহার রড দিয়ে রমজানের মাথায় আঘাত করে। মৃত্যু নিশ্চিত হওয়ার পর সে পালিয়ে যায়।
ঘটনাস্থল থেকে হত্যায় ব্যবহৃত রক্তমাখা লোহার রড জব্দ করা হয়েছে।

নির্মাণাধীন ভবনে হত্যাকাণ্ড ঘটনার প্রেস ব্রিফিংয়ে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এম এম মোহাইমেনুর রশিদ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত প্রক্রিয়া এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেন। এ সময় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ইনচার্জ শহিদুল ইসলাম, কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি শফিকুল ইসলাম খান, এবং তদন্ত কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন।
আরো পড়ুন >> ময়মনসিংহের ” চব্বিশের গনঅভ্যুত্থানে আমাদের নজরুল ” বিষয়ক রচনা ও চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত
গ্রেপ্তারকৃত আমিনুর ইসলামকে আদালতে প্রেরণ করা হবে বলে জানিয়েছেন পুলিশ।