সাহেব আলী , ময়মনসিংহ জেলার ফুলপুর উপজেলার ধিতপুর গ্রামের একজন সাধারণ মানুষ। তাঁর ছোট্ট সংসার—এক ছেলে, তিন মেয়ে, এবং স্ত্রী—তার একমাত্র অটোরিক্সার আয়ে চলছিলো। অটোরিক্সাটাই ছিলো তাঁর পরিবারের জীবিকার প্রধান উৎস। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে সেই একমাত্র আয়ের উৎসটি হারিয়ে গেলো, এবং সাহেব আলী এখন অসহায়ভাবে তার অটোরিক্সাটি ফিরে পাওয়ার অপেক্ষায় দিন কাটাচ্ছেন।
ঘটনাটি ঘটে ২৪ জুলাই, ২০২৪ সালে। প্রতিদিনের মতো সেই দিনও তার অটোরিক্সা চালিয়ে ফুলপুর মহিলা কলেজের রাস্তার পাশে জনৈক মাসুদ সাহেবের বাড়ির সামনে রেখে পাশের একটি মুদির দোকানে যান। কিন্তু দোকান থেকে ফিরে এসে দেখেন, তাঁর অটোরিক্সা আর সেখানে নেই। এই আকস্মিক ধাক্কায় তিনি হতবাক হয়ে যান এবং হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করেন। তাঁর চিৎকার শুনে আশেপাশের লোকজন জড়ো হন এবং জানতে পারেন যে তাঁর অটোরিক্সা চুরি হয়ে গেছে।
সাহেব আলী তখন চিৎকার করে বলতে থাকেন, “আমি কীভাবে আমার সংসার চালাবো? আমার কী হবে?” স্থানীয়রা তাকে পরামর্শ দেন যে, থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা উচিত। সম্ভবত পুলিশ দ্রুততার সাথে চোরের হাত থেকে অটোরিক্সাটি উদ্ধার করতে পারবে। তাঁদের কথায় সাহস পেয়ে সাহেব আলী ফুলপুর থানায় গিয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
ফুলপুর থানার অফিসার ইনচার্জ তাঁকে আশ্বস্ত করেন যে, বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে। স্থানীয় উপজেলা নির্বাহী অফিসার এ বি এম আরিফুল ইসলামও সাহেব আলীকে সান্ত্বনা দেন এবং প্রতিশ্রুতি দেন যে, তাঁরা এই ঘটনায় সুষ্ঠু পদক্ষেপ নেবেন।
আরও পড়ুন >> ময়মনসিংহ-নেত্রকোনা সড়কে অবশেষে চালু হলো বিআরটিসি বাস সার্ভিস
তবে, দেশের সাময়িক অস্থিরতা এবং অন্যান্য সমস্যার কারণে সাহেব আলীর এই বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে যায়। বর্তমানে, দেশের পরিস্থিতি অনেক ভালো, এবং সাহেব আলী আশা করেন যে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা এখন তাঁর সমস্যাটি গুরুত্বের সাথে দেখবেন। অটোরিক্সাটি ফিরে পেলে তিনি আবার তার সংসারের হাল ধরতে পারবেন এবং পরিবারকে স্বাভাবিক জীবনে ফিরিয়ে আনতে পারবেন।