আবুল মনসুর আহমেদ ময়মনসিংহের ত্রিশালের ধানিখোলায় জন্মগ্রহণ করা একজন সাহিত্যিক, রাজনীতিবিদ এবং সাংবাদিক।তিনি ছিলেন একাধারে রাজনীতিবিদ, আইনজ্ঞ ও সাংবাদিক এবং বাংলা সাহিত্যের অন্যতম শ্রেষ্ঠ বিদ্রূপাত্মক রচয়িতা। ১৯৪৬-এ অবিভক্ত বাংলার কলকাতা থেকে প্রকাশিত ইত্তেহাদ-এর সম্পাদক এবং তৎকালীন কৃষক ও নবযুগ পত্রিকায়ও কাজ করেন তিনি।
জন্ম
তিনি ময়মনসিংহ জেলার ত্রিশাল উপজেলার ধানিখোলা গ্রামে ১৮৯৮ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম আব্দুর রহিম ফরাজী, মাতার নাম মীর জাহান খাতুন।
শৈশব ও ছাত্রজীবন
আবুল মনসুর আহমেদ ১৯১৭ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা পাশ করেন এবং ১৯১৯ সালে উচ্চমাধ্যমিক পাশ করেন। তিনি কলকাতার রিপন কলেজ থেকে আইন বিষয়ে পাশ করেন। এই সময়টা ছিল খিলাফত আন্দোলন ও অসহযোগ আন্দোলনের। তিনি ৯ বছর ময়মনসিংহে আইন চর্চা করেন। তারপর কলকাতায় পেশাদার সাংবাদিক হিসাবে কাজ করেন। তিনি বিশিষ্ট আইনজীবীও ছিলেন। গোঁড়া মোহাম্মদী পরিবারের সন্তান ছিলেন আবুল মনসুর আহমদ। লাল তুর্কী টুপি মাথায় মোহাম্মদীর পক্ষে তর্কেও যেতেন। ঘটনাক্রমে একদিন তিনি ময়মনসিংহ জিলা স্কুলের হেড মৌলভী আলী নেওয়াজ ও শিক্ষক মৌলভী শেখ আবদুল মজিদের সংস্পর্শে আসেন। এঁদের সাহচর্যে আবুল মনসুর প্রথম উদারতার পাঠ গ্রহণ করেন। তার এই উদারতার বহিঃপ্রকাশ ঘটে অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের প্রতি। ১৯১৮-১৯ সাল থেকে তিনি কবর পূজা এবং পীর পূজাসহ হিন্দু-মুসলিম সমাজের সকল কুসংস্কারের সরাসরি বিরোধিতা শুরু করেন।
আরও পড়ুন >> ময়মনসিংহে আবাসিক হোটেলে মিলল তরুণীর গলাকাটা মরদেহ
গ্রন্থসমূহ
ব্যঙ্গরচনা
- আয়না (১৯৩৬-১৯৩৭)
- ফুড কনফারেন্স (১৯৪৪)
- গালিভারের সফরনামা
স্মৃতিকথা
- আত্মকথা (১৯৭৮, আত্মজীবনী)
- আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর (১৯৬৯)
- শেরে বাংলা হইতে বঙ্গবন্ধু (১৯৭২)
অন্যান্য রচনা
- সত্য মিথ্যা (১৯৫৩)
- জীবনক্ষুধা (১৯৫৫)
- আবে হায়াত (১৯৬৮)
- হুযুর কেবলা (১৯৩৫)
- বাংলাদেশের কালচার (১৯৬৬)
- আসমানী পর্দা (১৯৬৪)
তথ্যসূত্র[°]
১৯৭৯ সালের ১৮ মার্চ ঢাকায় মৃত্যুবরণ করেন তিনি।