ময়মনসিংহের ত্রিশালে সড়ক দুর্ঘটনার পর পেটে ফেটে বের হওয়া শিশু ফাতেমার ক্ষতিপূরণের টাকা ‘রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক শিশু ও দুই সন্তানের সহায়তা হিসাবে’ নবজাতকের টাকা ব্যাংকে আছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ এনামুল হক।
তার নিজ ফেসবুক আইডি এবং জেলা প্রশাসন ময়মনসিংহ ফেইসবুক পেইজে তিনি বলছেন নবজাতকের টাকা ব্যাংকে আছে :
ট্রাস্টি বোর্ড, বিআরটিএ তহবিল হতে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত পিতা মাতার নবজাতক শিশুর অভিভাবককে ক্ষতিপূরণ বাবদ প্রাপ্ত ০৫ (পাচ লক্ষ) টাকার ক্রস চেক সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল “রত্না আক্তার রহিমার নবজাতক শিশু ও অপর দুই সন্তানের সহায়তা হিসাব”-এ জমা আছে।
তিনি আরও বলেন :
এই টাকার পাশাপাশি অন্যান্য ব্যাক্তিবর্গের প্রদত্ত টাকাও ঐ একাউন্টে জমা হচ্ছে। একাউন্ট নম্বর ৩৩২৪১০১০২৮৭২৮, সোনালী ব্যাংক, ত্রিশাল শাখা।
এই একাউন্ট পরিচালনা করছেন শিশুর অভিভাবক দাদা ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ত্রিশাল। এখানে অনিয়মের কোনো সুযোগ নেই।
আজকের তথ্য এই হিসাবে জমা হয়েছে ১৪, ২৮,৫০২ টাকা ব্যয় হয়েছে ৩০,০২৫ টাকা জমা আছে ১৩,৯৮,৪৭৭ টাকা।
শিশুটি বর্তমানে সরকারি খরচে ঢাকার ছোটমনি নিবাসে চিকিৎসাসহ উন্নতমানের সেবাসহ লালিত পালিত হচ্ছে। নবজাতকের দাদীকে প্রতিবন্ধী ভাতা কার্ড দেয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিপিন পার্ক – ময়মনসিংহের এক পুরোনো ঐতিহ্যবাহী পার্ক
ইতোমধ্যে উক্ত পরিবারের যেনো কোনো সমস্যা না হয় সেদিকে সার্বক্ষণিক নজর রাখছেন উপজেলা সমাজসেবা অফিসার ও উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ত্রিশাল।
উক্ত পরিবারের জন্য একটি পাকা ঘর তৈরি করার পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
এর আগে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে শিশু ফাতেমার সহায়তার জন্যে পাঁচ লক্ষ টাকার চেক প্রদান করেছিলেন সড়ক দুর্ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার জন্য গঠিত ট্রাস্টি বোর্ড।
তবে জেলা প্রশাসক সেই টাকা শিশু ফাতেমার সহায়তায় ব্যাবহার না করে পরিবারের অন্য সদস্যের নামে একাউন্ট খুলে জমা রেখেছেন – এমন জানিয়ে বৃহস্পতিবার হাইকোর্টে রিট করা হয়।
পরে হাইকোর্ট বেঞ্চ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনকে তিন সপ্তাহের মধ্যে শিশু ফাতেমার টাকার বিষয়ে প্রতিবেদন পেশ করার নির্দেশ দেয়।
চলতি বছরের জুলাই মাসে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে একটি সড়ক দুর্ঘটনায় এক পরিবারের তিনজন নিহত হন।
তবে মৃত্যুর আগে ফাতেমা নামে এক নবজাতককে জন্ম দিয়ে যান সেই মহাসড়কেই।
বর্তমানে শিশুটি ঢাকার ছোটমনি নিবাসে বেড়ে উঠছে।