মানসিক রোগী ফাতেমাকে ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত ধর্ষক ময়মনসিংহের নান্দাইলের আমানউল্লাহকে নেত্রকোনার পূর্বধলার শ্যামগঞ্জ বাজার থেকে র্যাব-১ গ্রেফতার করেছে।গ্রেফতারকৃত আমাউল্লাহ ময়মনসিংহের নান্দাইল খারোয়া গ্রামের খোরশেদ আলমের ছেলে।
এ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ময়মনসিংহ র্যাব-১৪ সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. আনোয়ার হোসেন।
গত বছরের ২৩ ডিসেম্বর দুপুর দেড়টায় ওই গৃহবধূ তার বাড়িতে যাওয়ার জন্য পার্শ্ববর্তী উপজেলা গফরগাঁও রেলওয়ে স্টেশনে অবস্থান করছিলেন।
এ সময় সুমন নামের একজন ভালুকায় ওই নারীকে পৌঁছে দেবে বলে মোটরসাইকেলে করে নিয়ে যান। কিছুক্ষণ পর সুমন আমাউল্লাহ নামের একজনকে মোবাইলে কল করে ডেকে নিয়ে আসেন।
পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নান্দাইল থানাধীন খারুয়া ইউনিয়নের রাজাপুর এলাকায় সড়কের পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে মানসিক রোগী ফাতেমাকে ধর্ষণ করা হয়।
এরপর রাত সাড়ে ৭টার দিকে তারা ওই নারীকে দেওয়ানগঞ্জ বাজারের কাছে কালীমন্দিরের সামনে ফেলে রেখে চলে যান।এ ঘটনায় গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় ফাতেমার বাবা আব্দুল কমির বাদী হয়ে ধর্ষণ মামলা করেন।
মানসিক রোগী ফাতেমার বাড়ী ভালুকার ভরাডোবা ইউনিয়নের উত্তর রাংচাপড়া গ্রামে। পরে আসামি সুমনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করার পর আদালতের নির্দেশে পুলিশ জেল হাজতে প্রেরণ করেন। সে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়।
আরও পড়ুন : বাঁচতে চায় সালাহউদ্দিন মুকুল
আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদেরকে বলেন, ঘটনাটি জানতে পেরে তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় আমাউল্লাহর পালিয়ে থাকার অবস্থান জানতে পেরে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয়।