ময়মনসিংহে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসনের দাবিতে এবং ক্যাডার ভিত্তিক মন্ত্রণালয় সহ উপসচিব পদমর্যাদার তদুর্ধ পদে মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের জন্য কলম বিরতি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ময়মনসিংহে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদ এর উদ্যোগে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজের অডিটরিয়াম প্রাঙ্গণে এই কলম বিরতি অনুষ্ঠিত হয়। এই আন্দোলনের মূল দাবি ছিল প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা রাখা এবং অন্যান্য ২৫টি ক্যাডারের জন্য ৫০% মেধাভিত্তিক নিয়োগের প্রস্তাব। এছাড়া শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশের বিরুদ্ধেও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন কর্তৃক উপসচিব পদের জন্য প্রশাসন ক্যাডারের জন্য ৫০% কোটা এবং অন্যান্য ক্যাডারদের জন্য ৫০% মেধার ভিত্তিতে নিয়োগের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে এই কলম বিরতি পালিত হয়।
ময়মনসিংহ বিভাগের আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের বিভাগীয় সমন্বয়ক ডা. মাহমুদ হোসেন নাসিম বলেন, “সিভিল সার্ভিসে কার্যকর সেবা নিশ্চিত করতে আন্তঃক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের পক্ষ থেকে পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠার দাবি জানানো হয়েছে। প্রতিটি মন্ত্রণালয়ে অভিজ্ঞ ও দক্ষ কর্মকর্তারা পদায়িত হবেন, যা প্রশাসনের কার্যক্রমকে আরো দক্ষ ও সুষ্ঠু করবে।”
তিনি আরো জানান, বর্তমানে প্রশাসন ক্যাডারের সদস্যরা দেশের বিভিন্ন সেক্টরগুলোর নীতি নির্ধারণ, পরিকল্পনা এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণ করছেন, কিন্তু তাদের সেই সেক্টরের কোনো অভিজ্ঞতা বা দক্ষতা নেই। এই কারণে সেক্টরগুলো কাঙ্ক্ষিত জনসেবা প্রদান করতে পারছে না।
ডা. নাসিম আরো বলেন, “যেহেতু একটিই ক্যাডার বিভিন্ন সেক্টরের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে, এর ফলে সৃষ্ট আমলাতান্ত্রিক সিন্ডিকেট, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা এবং বৈষম্য রাষ্ট্রের সকল সেক্টরকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। এর ফলে জনগণ প্রকৃত জনসেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।”
এছাড়াও, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করার সুপারিশ জনগণের মাঝে নতুন সন্দেহ সৃষ্টি করেছে। তিনি মন্তব্য করেন, এই সিদ্ধান্ত সিভিল সার্ভিসের মধ্যে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে পারে।
এই কলম বিরতিতে আরও উপস্থিত ছিলেন, মো. মাসুদুর রহমান, ড. মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম সহ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালের বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসক এবং ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দ।
আরও পড়ুন >> ময়মনসিংহে সরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে অস্ত্র ও মাদক উদ্ধার
আন্দোলনকারীরা দাবি করেছেন, প্রশাসনিক কাঠামোর মধ্যে বৈষম্য দূর করে দেশের সেবা নিশ্চিত করতে দ্রুত পদক্ষেপ নেয়া হোক।