ময়মনসিংহ শহরের ব্যাস্ততা যেমন বেড়ে চলেছে সেই সাথে বাড়ছে ছিনতাইকারী প্রভাব। প্রতিদিন জানা অজানা অনেক ঘটনা ঘটে চলছে ময়মনসিংহের ব্যাস্ততম এলাকা গুলোতে।
সেরকম একটি ঘটনার ভুক্তভোগী হলেন মো নাঈম ইসলাম। সম্প্রতি একটি ছিনতাই ঘটনার বিবরনী দেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে।
ময়মনসিংহে ছিনতাইকারী প্রভাব কি দিনকে দিন বেড়েই চলবে? ছিনতাইকারীর কারণে রাস্তায় সুস্থভাবে চলাফেরা করাই অসম্ভব হয়ে পড়েছে। আমি ঢাকা থেকে বাসে এসে বাইপাসে নেমে ব্রীজে যাওয়ার উদ্দেশ্যে অটোতে উঠি, আমার সাথে আমার ছোট্ট ভাতিজি ও তার মা সহ আমরা তিনজন পেছনের সিটে বসি। ড্রাইভারের পাশে মধ্যবয়সী একজন মুরুব্বী উঠেছেন।
চরপাড়া ঘড়ির মোড়ে আসতেই আরো দুইজন একসাথে অটোতে উঠলো। খ্রিস্টানদের চিকিৎসালয় এর সামনের ফাঁকা রোডে অটো থামিয়ে ড্রাইভারের পাশের লোকের গলায় ব্লেড ধরে হুমকি দিয়ে তার কাছে যা টাকা আছে সব চাইতেছে। একজনে গলায় ব্লেড আরেকজনের হাতে ছিলো ছোট ছুরি। বিষয়টা দ্রুত বুঝতে পেরে আমি অটো থেকে নেমে রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে লোক জড়ো করতে যাই। ১৫-২০ সেকেন্ডের মধ্যেই মধ্যবয়সী লোকটার থেকে টাকা নিয়ে দুজনে দৌড়ে পালিয়ে যায়। যদিও আমার কিছুই হয়নি কিন্তু প্রতিনিয়ত অসহায়ের মতো এই ভয়ংকর পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে ময়মনসিংহে যাতায়াতকারী সাধারণ মানুষদের।
প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। অতি দ্রুত এসব সমস্যা সমাধান না করতে পারলে ছিনতাইয়ে বাংলাদেশের এক নাম্বার জেলা হিসেবে পরিচিতি লাভ করবে ময়মনসিংহ। অল্প কিছু টাকার জন্যে এরা গলায়,বুকে,পিঠে ছুরি ঢুকিয়ে দিতেও দুইবার ভাবে না। এরকম অসংখ্য ভুক্তভোগীকে ময়মনসিংহ মেডিকেলের ইমার্জেন্সিতে পাওয়া যায়। সুতরাং ছিনতাইকারীর এলোপাথাড়ি ছুরিকাঘাত থেকে মানুষের জীবন বাঁচাতে অবশ্যই অতি দ্রুত প্রশাসনের সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।মো নাঈম ইসলাম।
আরও পড়ুন : ময়মনসিংহে অভিনব কায়দায় পাঁচ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ
ময়মনসিংহের ব্যাস্ততম এলাকা যেমন ব্রীজ মোড়, চরপাড়া মোড়, গাংগিনার মোড়, টাউন হল মোড় সহ কলেজ রোডের ভিতরেও এরকম ঘটনার উল্লেখ পাওয়া যায়। প্রশাসন ইতিমধ্যে বিভিন্ন ধরণের পদক্ষেপ গ্রহন করেছে। এছাড়া শহরের ব্যাস্ততম রাস্তাগুলোতে সিসি ক্যামেরার আয়তায় এনেছে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশ। রাতে ময়মনসিংহ জেলা পুলিশের টহল অব্যাহত থাকে।