১৩তম নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগ আসরের চ্যাম্পিয়ন হলো ময়মনসিংহ

রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত হয়ে যাওয়া ১৩তম নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগ ২০২৪-২০২৫ এর এবারের আসরে ২ সেপ্টেম্বর রাজশাহীকে হারিয়ে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ময়মনসিংহ।

বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের উজ্জ্বল নক্ষত্র নিগার সুলতানা জ্যোতি আবারও তার দক্ষতা প্রদর্শন করেছেন, এবার ১৩তম নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগ এ। টুর্নামেন্টজুড়ে তার অসাধারণ পারফরম্যান্স, বিশেষত ফাইনালে রাজশাহীর বিপক্ষে তার প্রভাবশালী ইনিংস, ময়মনসিংহকে প্রথমবারের মতো নারী জাতীয় ক্রিকেট লিগের চ্যাম্পিয়ন করার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।

সোমবার অনুষ্ঠিত ফাইনালে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ময়মনসিংহ সংগ্রহ করে ৬ উইকেটে ১৩২ রান। জবাবে রাজশাহী দল ১৭ ওভারে মাত্র ৮৪ রানে গুটিয়ে যায়, যার ফলে তারা ৪৮ রানের ব্যবধানে হেরে যায়।

ময়মনসিংহের ইনিংসের শুরুতেই দ্বিতীয় ওভারে শূন্য রানে সুমাইয়া আক্তার সুবর্নাকে হারায় দলটি। নিগার সুলতানা জ্যোতি ছাড়া আর দুজন মাত্র ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘরে পৌঁছাতে পেরেছেন, তবে কেউই তেমন বড় রান করতে পারেননি। এ সময় নিগার একাই চাপ সামলে অসাধারণ সব শটে দলকে প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ধরে রাখেন।

ওপেনার ফারজানা আক্তার লিসা ২২ বলে ১৪ রান করেন এবং পাঁচ নম্বরে নামা স্বর্ণা আক্তার ১৪ বলে ১৮ রান সংগ্রহ করেন। অন্যপ্রান্তে যখন একের পর এক উইকেট পতন হচ্ছিল, তখন নিগার নিজের দৃঢ়তা দিয়ে ময়মনসিংহকে টেনে নিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত ৬৪ বল খেলে ৬টি চার ও ৪টি ছক্কার সাহায্যে অপরাজিত ৮২ রানে দলকে সম্মানজনক স্কোরে পৌঁছে দেন তিনি।

রাজশাহীর ইনিংসেও শূন্য রানে প্রথম উইকেট হারায় দলটি। ১৮ রানের মধ্যে ৪ উইকেট হারিয়ে তারা বিপদে পড়ে যায়, যা ম্যাচটি ময়মনসিংহের দিকে টেনে নেয়। যদিও মিষ্টি রানি সাহা ৩৩ বলে সর্বোচ্চ ৪০ রান করেন, তার লড়াই বৃথা যায় যেহেতু অন্য ব্যাটাররা সঙ্গ দিতে ব্যর্থ হন। ৭৭ রানে মিষ্টি রানি আউট হওয়ার পর দ্রুতই রাজশাহী দল অলআউট হয়ে যায়।

আরও পড়ুন >> ময়মনসিংহে জারিয়া লোকাল ট্রেনে ডাকাতি: যাত্রীদের নিরাপত্তা অনিশ্চিত

ময়মনসিংহের হয়ে স্বর্ণা আক্তার এবং মুমতাহিনা হাসনাত সমান তিনটি করে উইকেট নেন। ফাইনালের ম্যাচ-জয়ী ইনিংস খেলার জন্য নিগার সুলতানা জ্যোতি ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান। এছাড়া তিনি টুর্নামেন্ট সেরার খেতাবও জিতেছেন। টুর্নামেন্টের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হন সাথী রানী বর্মন, সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী হন স্বর্ণা আক্তার, এবং সেরা উদীয়মান খেলোয়াড় হিসেবে মনোনীত হন আনিশা আক্তার সোবা।

শেয়ার করুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *